টুডেনিউজ বিডি ডটনেট
লিথুয়ানিয়ায় প্রশিক্ষণ চলাকালীন নিখোঁজ হওয়া চার মার্কিন সেনার মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক সেনা। এই রহস্যজনক দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন মার্কিন সেনাবাহিনী।
গত ২৫ মার্চ লিথুয়ানিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর পাব্রেডের কাছে, বেলারুশ সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকায় মার্কিন সেনারা একটি সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছিলেন। তৃতীয় পদাতিক ডিভিশনের প্রথম ব্রিগেডের চারজন সেনা কৌশলগত উদ্ধার প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে একটি সাঁজোয়া যান পরিচালনা করছিলেন। হঠাৎ করেই ওই যানটি নিখোঁজ হয়ে যায়।
প্রায় এক সপ্তাহ পর, সোমবার (৩১ মার্চ) মার্কিন সেনাবাহিনীর ইউরোপ ও আফ্রিকা কমান্ড নিশ্চিত করেছে যে, নিখোঁজ যানটি লিথুয়ানিয়ার একটি জলাভূমিতে নিমজ্জিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এরপরই অনুসন্ধান চালিয়ে তিনজন মার্কিন সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও চতুর্থ সেনার কোনও সন্ধান মেলেনি। তার ভাগ্যে কী ঘটেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন উদ্ধারকারীরা।
প্রশিক্ষণ চলাকালীন হারিয়ে যাওয়া চার মার্কিন সেনার সন্ধানে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর পাশাপাশি লিথুয়ানিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, পোলিশ বাহিনী এবং মার্কিন নৌবাহিনীর ডুবুরি দল একত্রে কাজ করছে। উচ্চ পর্যায়ের এই উদ্ধার অভিযানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি কোনো বাহ্যিক হস্তক্ষেপ রয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। বেলারুশ সীমান্তের কাছাকাছি এই রহস্যজনক ঘটনা ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন বাহিনী নিখোঁজ চতুর্থ সেনাকে খুঁজে বের করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে আরও নতুন তথ্য প্রকাশিত হতে পারে, যা এই রহস্যজনক ঘটনার প্রকৃত সত্য উন্মোচনে সাহায্য করবে।