সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পক্ষের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র নেত্রী শামান্তা শারমিন।
সমালোচনার যে জবাব দিলেন এনসিপি নেত্রী শামান্তা শারমিন
রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করতে আসলে পাবলিক এক্সেসের কারণেই অনেক কথা শুনতে হয়। নারীদের জন্য এ জীবন বাড়তি বিড়ম্বনার। এনসিপি দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরই সমালোচনা ও চরিত্র হননের এক মহা সমুদ্রের মাঝে পড়ে। সমালোচনাকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখি বরং দলের অভ্যন্তরেও গঠনমূলক সমালোচনার পরিবেশ তৈরীর ব্যাপারে ভূমিকা রাখার ইচ্ছা রাখি।’
চরিত্র হননের এক বিশাল ক্যাম্পেইনকে চ্যালেঞ্জ করে শারমিন বলেন, ‘চরিত্র হননের ব্যাপারটা আলাদা। নেট দুনিয়ায় ডাঃ তাসনিম জারা ও ডাঃ তাজনূভা জাবীন ও আমার চরিত্র হননের এক বিশাল ক্যাম্পেইন চলমান। তাসনিম জারার সাথে যা করা হচ্ছে সেটার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। এটাকে ট্যাকেল করার ঘোষণা জারা আপা দিয়েছেন। সেই সাথে এর হিসেব বুঝিয়ে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে রাখলাম আমিও। এ বিষয়ে বলতেই হয় দলের সকল নেতা-কর্মী আমাদের নিয়ে চিন্তিত এবং সহানুভূতিশীল। এসব ক্ষেত্রে দলের খুব বেশি কিছু করার থাকে না। তবে চেষ্টা জারি রাখা উচিত।’
হিজাব পরা নিয়ে অ্যাক্টিভিস্টদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমার ক্ষেত্রে অন্যান্য টুকরো কিন্তু সংঘবদ্ধ মন্তব্য ছাড়াও রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মহলে একটি ক্যাম্পেইন আছে যে আমি ৫ আগস্টের পরে নয়া রাজনৈতিক ধারার সাথে তাল মিলিয়ে চলার উদ্দেশ্যে হিজাব পরে ভান করছি। বিশেষত আমি যেহেতু ছাত্রাবস্থায় লেফট ব্লকের সাথে এক্টিভিজম করেছি তাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার মাথায় হিজাব দেখে প্রতারিত বোধ করছেন।
Sorry to burst your bubble, Almighty Allah saved me from this allegation long before the uprising took place.
অন্যান্য বাজে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে হিজাব বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে এনসিপি নেত্রী বলেন, অন্যান্য বাজে মন্তব্য মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। তবে এ বিষয়ে আমার অবস্থানটা জানানো দরকার। আমি রিভার্ট হয়েছি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। আমি ফেসবুকের এক্টিভিটিতে ড্রাস্টিক কোন পরিবর্তন আনিনি শুধু আমার হিজাব ছাড়া যত ছবি ছিলো সেগুলো বাদ দিয়েছি। আমার ব্যক্তি জীবনের একান্ত বিষয় বলে হিজাবসহ প্রোফাইল ছবি দিয়ে দুনিয়াকে জানানোর প্রয়োজন বোধও করিনি। পরিবার ও পাঁচ ছয়জন বন্ধু-বান্ধব ছাড়া কেউই জানতো না। এজন্যই অভ্যুত্থানের দশ মাস আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পরের ঘটনা বলে উল্লেখ করছেন। এদের উদ্দেশ্য হলো আমাকে রাজনৈতিকভাবে অসৎ ও সুযোগসন্ধানী সাব্যস্ত করা।’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে আল্লাহর পরিকল্পনায় মানুষের পরিকল্পনার মত এত ছেদ থাকে না। রিভার্ট হওয়ার এক- দুই মাসের মাথায় আমার মনে হতে থাকে অন্তত একটা কিছু লিখা উচিত। আমি আগেও বলেছি ব্যক্তিগত বিষয় পাবলিকলি শেয়ার করতে আমি রিলাক্টেন্ট ফিল করেছি কিন্তু অজানা এক কারণে আমার মনে হতে থাকে আমি যদি না লিখে রাখি তাহলে বিপদে পড়বো। শেয়ার করার অনীহার কারণে আমি সাত মাস দেরি করে জুনে পোস্টটা দেই।’
জাতীয় নাগরিক পার্টিতে এলজিবিটি সমর্থক, কী বলছেন শীর্ষ নেতারা




