সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমের সমর্থনে বিশাল শোডাউন করেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তরুণ সমাজ।
রোববার (১৮ মে) জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্ট থেকে এই শোডাউন শুরু হয়। এরপর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় পৌর পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হয়।
সমাবেশে পৌর সভাসহ আটটি ইউনিয়নের শত শত মানুষ সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ তালহা আলমের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। এ সময় তারা বলেন, সৈয়দ তালহা আলম সংসদ নির্বাচনে যে মার্কায়ই দাঁড়াবেন, তাদের সমর্থন থাকবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের সদস্য সচিব মাওলানা এরশাদ খান আল হাবিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা সৈয়দ তালহা আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান, শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক, এম আব্দুল হাফিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ হোসাইন আহমদ, সৈয়দপুর- শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খুরশেদ আলী মেম্বার, জগন্নাথপুর বাজার কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক লিটন আহমদ, এম শাহীনুর রহমান শাহীন, কবি আবু আসাদ চৌধুরী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা শহীদুর রহমান, মিরপুর ইউনিয়ন জমিয়তের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, আখতার হোসাইন, হাফিজ আলী নুর, সরওয়ার আহমদ প্রমুখ।
সমাবেশে সৈয়দ তালহা আলম জগন্নাথপুরের অতীতের দুই উপজেলা নির্বাচনের কথা তুলে ধরে বলেন যে অন্যান্য সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের সাথে কোনো সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ নেই। কিন্তু তিনি সংখ্যালঘু নেতৃত্বদের সঙ্গে নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে চান।
সমাবেশে সৈয়দ তালহা আলমের সাথে অনেক সংখালঘু ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি অন্য প্রার্থীদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন যে জগন্নাথপুরের ৩০ হাজার হিন্দু ভোটারের কি তাদের প্রয়োজন নেই।
এছাড়া প্রতিহিংসা এবং হয়রানিমূলক মামলা হামলা ও চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বানও জানান তিনি। একইসাথে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালন যথাস্থানে নির্মাণেরও দাবি জানান।
সৈয়দ তালহা আলম সমাবেশে জগন্নাথপুর এবং শান্তিগঞ্জের উন্নয়নে বিশ্বমানের শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোরও প্রতিশ্রুতি দেন।
তারুণ্যের সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, জনসমর্থনে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সৈয়দ তালহা আলম এগিয়ে এবং জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে সৈয়দ তালহা আলমের নিজস্ব কর্মীবাহিনী রয়েছে। এর প্রমাণ হলো আজকের তারুণ্যের সমাবেশ ও বিশাল মিছিল। সমাবেশ শেষে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।