টুডে ডেস্ক
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে স্পেসএক্স-এর স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক। আজ সকালে স্টারলিংক তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে এক ঘোষণার মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রথম পর্যায়ে স্টারলিংক দুইটি প্যাকেজ চালু করেছে— স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। এর মধ্যে রেসিডেন্স প্যাকেজের মাসিক খরচ ৬,০০০ টাকা এবং রেসিডেন্স লাইটের মাসিক খরচ ৪,২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উভয় প্যাকেজেই সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য এককালীন খরচ হবে ৪৭,০০০ টাকা।
গ্রাহকদের জন্য ইতিবাচক দিক হলো— কোনো স্পিড বা ডেটা লিমিট নেই। ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।
স্টারলিংক জানিয়েছে, বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে তিন মাস আগে ঘোষিত ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুর প্রত্যাশা সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
যদিও সেবাটির খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি, তবুও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার একটি টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে।
এছাড়া, দেশের যেসব দুর্গম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিক বা দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছেনি, সেখানে স্টারলিংক ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করবে। পাশাপাশি এনজিও, ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা সারাবছর জুড়ে নিরবিচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জনে দেশের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
স্টারলিংকের যাত্রা বাংলাদেশের ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং সবার জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক বড় পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
