টুডেনিউজ বিডি ডটনেট
ইসরায়েলের কট্টর-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সোমবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তিনি গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্যের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ রাখবেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ আয়োজিত ‘পিপল অফ ইসরায়েল কনফারেন্সে’ বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “এক দানা গমও গাজায় প্রবেশ করবে না।”
এর আগে, ২ মার্চ — যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের কয়েক সপ্তাহ আগে — ইসরায়েল গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। এতে করে অতি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যায় এবং পরিস্থিতি চরম সংকটে পরিণত হয়।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির অন্যতম মূল লক্ষ্য ছিল গাজায় সহায়তার প্রবাহ পুনঃস্থাপন। কিন্তু ১৮ মার্চ ইসরায়েল পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ আবার শুরু করার পর, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এতে ১,৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩,৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
স্মোট্রিচের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানায় যে ইসরায়েল সরকার গাজায় আংশিক সহায়তা প্রবাহ পুনরায় চালু করার সম্ভাবনা বিবেচনা করছে।
বক্তব্যে স্মোট্রিচ বলেন, তিনি ইসরায়েলি জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তির চেয়ে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করাকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। তাঁর ভাষায়, “এটা ভালো যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, যদিও দুঃখজনকভাবে তা এভাবে শুরু হয়েছে। তবে আমরা মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতা বদলে দিচ্ছি।”
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজায় গণ-বিতাড়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের আক্রমণ আরও জোরদার করবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০,৭০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অবরুদ্ধ গাজায় হামলার সময় অনাহারকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ বহুবার উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। এটিই ছিল সেই প্রধান অভিযোগ যার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই