গণতন্ত্র ইসলাম সম্মত কিনা

গণতন্ত্র ইসলাম সম্মত কিনা

টুডেনিউজ ডেস্ক

গণতন্ত্র ইসলাম সম্মত কিনা

গণতন্ত্র ইসলাম সম্মত কিনা—এই প্রশ্নে বহু বিতর্ক থাকলেও, ইসলামের মৌলিক আকিদা অনুযায়ী গণতন্ত্র একটি ইসলাম-বিরোধী শাসনব্যবস্থা। এটি একটি নিরপেক্ষ টুলস নয়, বরং সেক্যুলার ও মানব সার্বভৌমত্বভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে আইন প্রণয়নের চূড়ান্ত অধিকার আল্লাহর নয়, মানুষের হাতে। কুরআনের ঘোষণা—”إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ” (শাসন কেবল আল্লাহর) স্পষ্ট করে দেয় যে ইসলামি শাসনব্যবস্থা ও গণতন্ত্র একসাথে চলতে পারে না।

অনেকে গণতন্ত্রকে ইসলামি শূরার আধুনিক রূপ হিসেবে উপস্থাপন করেন। এটি ভুল, কারণ শূরা শুধুমাত্র শরিয়াহনিষ্ঠ পরামর্শমূলক ব্যবস্থা—যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয়, বরং কুরআন-সুন্নাহই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করে। অন্যদিকে, গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা শরিয়াহবিরোধী আইনও বৈধ হয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশের বাস্তবতায় ইসলাম বনাম গণতন্ত্র : শরীয়াহ বাস্তবায়নের পথ কোনটি

গণতান্ত্রিক মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর (যেমন: তুরস্ক, পাকিস্তান) বাস্তবতা বলে দেয়, গণতন্ত্র মুসলিম উম্মাহকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গঠনে সাহায্য করেনি। বরং তারা পশ্চিমা সামরিক চুক্তি ও অর্থনৈতিক ঋণ-নির্ভরতায় জড়িত থেকে গেছে। সুতরাং, গণতন্ত্র মুসলমানদের রাজনৈতিক মুক্তির পথ নয়।

তাছাড়া, গণতন্ত্রে জবাবদিহিতা জনগণের নয়, সংবিধান ও পার্লামেন্টের প্রতি। যদি সেই সংবিধান হয় সেক্যুলার, তবে ইসলামি দাবির কোনও কার্যকর প্রতিফলন হয় না। ইসলামি খেলাফতব্যবস্থায় খলিফা আল্লাহর হুকুম মেনে চলতে বাধ্য, ব্যত্যয় ঘটালে তাকে তা*গুত গণ্য করা হয়।

ইসলামী খিলাফাতের কাঠামো কি নেই

শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ইতিহাসও ইসলামেই প্রথম দেখা যায়—আবু বকর (রা.) থেকে উমর (রা.), ও হাসান (রা.) থেকে মুআবিয়া (রা.)-এর মধ্যে, যেখানে ক্ষমতা ছিল আমানত—not গণতন্ত্রের মত সংখ্যাগরিষ্ঠতার খেলা।

সারকথা, ইসলামিক ওয়ার্ল্ডভিউয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে গণতন্ত্রকে ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিকল্প বা সমর্থক হিসেবে গ্রহণ করা হক আকিদা থেকে বিচ্যুতি এবং তা*গুতের আধিপত্য মেনে নেওয়ার নামান্তর।

আফগানিস্তানে পশ্চিমা আইন প্রয়োজন নেই : তালেবান প্রধান

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Scroll to Top