সিরিয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এক ওয়েবিনারে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক টিম লেন্ডারকিং।
তিনি জানান, ক্ষমতাসীন আহমাদ শারা প্রসাশন যদি বিশ্বাসযোগ্য অগ্রগতি দেখাতে পারে, তাহলে সিরিয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
‘সঠিক পরিস্থিতিতে’ সিরিয়া-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রস্তুত আল-শারা
লেন্ডারকিং বলেন, ‘আমরা এমন একটি সুযোগ খুঁজছি যেখানে আস্থা তৈরি করা সম্ভব।’ তিনি আরো জানান, সিরিয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও একটি অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ গঠন এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পুনঃসম্পর্ক স্থাপনের পথ উন্মুক্ত হতে পারে।
সিরিয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যেসব শর্ত দিলো যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে,
– সিরিয়ায় নিখোঁজ বা আটক মার্কিন নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে সাংবাদিক অস্টিন টাইসের অবস্থান জানাতে হবে।
– ইরান ও হিজবুল্লাহসহ তাদের মিত্রদের সিরিয়ার বাইরে রাখতে হবে।
– আইসিসসহ সকল উগ্রবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যকর অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
– এসডিএফ ও সিরীয় সরকারের মধ্যে উত্তর-পূর্ব সিরিয়াকে কেন্দ্রীয় সরকারে একীভূত করার সাম্প্রতিক চুক্তির বাস্তবায়ন করতে হবে।
– রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি অ-আগ্রাসন নীতি গ্রহণ করতে হবে।
– যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং সকল বিদেশী যোদ্ধাকে সিরিয়া থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
লেন্ডারকিং বলেন, আমরা চাই সিরিয়া একটি দ্বিতীয় সুযোগ পাক। তবে এর জন্য সত্যিকারের পদক্ষেপ দেখতে চাই।
উল্লেখ্য, বাশার আল-আসাদের দীর্ঘ ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে, যখন তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এরপর জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠিত হয়, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আহমেদ আল-শারা।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি