দিপ্র হাসান
কেন শিক্ষিত মুসলমানরা আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগে? কারণ এরা পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত। এদের অনেকে শুদ্ধ করে কুরআন পড়তে জানে না। এমনকি জীবনে একবারও পুরো কুরআন অর্থসহ পড়ে না। ফলে ইসলামি জ্ঞান এদের খুবই কম থাকে। ইসলাম সম্পর্কে এরা জানে নাস্তিক এবং পাশ্চাত্যের লেখকদের লেখা পড়ে আর নিজ চোখে দেখা মুসলমানদের দেখে।
পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত একজন লোক যতবড় জ্ঞানী হবে ইসলাম থেকে তত দূরে সরে যাবে। এ কারণে যারা পাশ্চাত্যের জ্ঞানে মুসলমানদের আলোকিত করতে চায় তারা মূলত মুসলমানদের ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যায়।
তাহলে কি পাশ্চাত্যের জ্ঞান মুসলমানদের দরকার নেই? আছে। কিন্তু সব জ্ঞান সবার জন্য নয়। যে ইসলামি ফিলোসোফি সম্পর্কে জ্ঞাত নয় সে পাশ্চাত্যের ফিলোসোফি পড়লে পথভ্রষ্ট হবেই। তাই পাশ্চাত্যের ফিলোসোফি পড়ার আগে ইসলামি ফিলোসোফি সম্পর্কে জানতে হবে।
অর্থাৎ ইসলামী জ্ঞানে নিজেকে আলোকিত না করে পাশ্চাত্যের জ্ঞান আরোহন করলে আপনি ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষী হয়ে উঠতে পারেন।
তাই যারা আমাদের দেশের স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন তাদের উচিত পুরো কুরআন তাফসির সহ অন্তত একবার পড়ে নেয়া। আর যারা মাদ্রাসায় পড়েছেন তাদেরও উচিত যুগের দর্শন সম্পর্কে ভালো ভাবে পড়াশোনা করা।
সবশেষে একটা কথাই বলব, আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগা মুসলমানরাও মুসলমান। তাদেরকে ইসলামের পথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও আমাদের। তাই তাদেরকে দূরে ঠেলে না দিয়ে ইসলামি আচরণ ও জ্ঞান দিয়ে আলোকিত করার চেষ্টা করুন।




