শরীফ মুহাম্মদ
কাদিয়ানীদেরকে এ রাষ্ট্র কোনো আমলে অমুসলিম ঘোষণা করবে, আপাতত এরকম মনে হয় না। কিন্তু এই ঘোষণা ও ঘোষণার বাস্তবতাটা তো দরকারি। এর জন্য করণীয় কী কী হতে পারে?
এর জন্য একটি কাজ তো হচ্ছে অমুসলিম ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানিয়ে মিটিং মিছিল করা। এর পাশাপাশি আরেকটি কাজ করা দরকার। সেটি হলো, উল্লেখযোগ্য বড় দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগেই কাদিয়ানী বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্তমূলক কিংবা মতামতমূলক অবস্থান ব্যক্ত করার পরিস্থিতি তৈরি করা/চাপ তৈরি করা। ১৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে এর কিছুটা নমুনা সামনে এসেছে।
ক্ষমতায় গেলে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করবো, এমন কথা অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলো বললে ফায়দা কম, অধিক সম্ভাবনাময় দলের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য আসলে সেটা কিছুটা মূল্য বহন করবে। যদি সেরকম ওয়াদামূলক প্রকাশ্য ঘোষণাও আদায় করা না যায় তাহলে অন্তত এতটুকু বক্তব্য আদায় করা যে আমরা সব যুগের মুসলমানদের খতমে নবুওত বিষয়ক দাবির সঙ্গে পূর্ণ একমত। রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা বাস্তবায়িত করতে পারব কিনা সে চেষ্টা করবো (কিংবা সে বিষয়টি তারা তাদের মতো করে বললো), তবুও এ বিষয়ে জাতীয় রাজনৈতিক উচ্চারণে একটি অবস্থান তৈরি হয়।
নির্বাচনী মেনিফেস্টোর সময় অনেক ওয়াদা এবং দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ করবে দলগুলো। প্রধান বড় দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা অন্তত সামনে আসা দরকার। এজন্য ইসলামী মহলগুলো যার যেখানে যে দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্তি ও যোগাযোগ, প্রভাব বিদ্যমান চেষ্টা জারি রাখতে পারে।
তৃতীয়ত, রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা দাবির পাশাপাশি শেষনবীকে শেষনবী না মানার কারণে কাদিয়ানীরা (এবং আখেরি উম্মতের 1400 বছরের মধ্যে আগে-পরে, ইতিহাসে -বর্তমানে নবুওয়তের দাবিকারিরা) কাফের ও অমুসলিম; এই ধর্মীয় সিদ্ধান্তটি ব্যাপকভাবে প্রচার করা, উচ্চারণ করা এবং সার্বজনীন অবগতির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করা। এতে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা আসুক কিংবা না আসুক, জনপরিসর, সমাজ ও নাগরিক মনস্তত্ত্বে কাদিয়ানীরা অমুসলিম হিসেবে চিহ্নিত হবে। এতে মূল কাজের ৮০ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।




