নিউজ ডেস্ক
রাজধানীর বাজারে গত এক সপ্তাহের বেশি সময়ের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চাল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই দাম বাড়ার পেছনে মিলারদের কারসাজিকে দায়ী করছেন পাইকারি বিক্রেতারা। মিল মালিকরা বলছেন, বাড়তি দামে ধান কেনায় চালের দাম বেড়েছে।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর বাজারে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চারটি তদারকি দল (মনিটরিং টিম) মাঠে রয়েছে। পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে চাল বিক্রির নিবন্ধন, মজুদ ও ক্রয়মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের তফাতের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখছে তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৃষি, বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে। চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে ও দাম কমিয়ে আনতে করপোরেট ব্যবসায়ীদের ডাকা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধ মজুদ বন্ধে আমরা নওগাঁ থেকে অভিযান শুরু করেছি। ইউএনও-ওসি গিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করা এসব প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও জরিমানা করেছেন।’
দুই-এক দিনের মধ্যে করপোরেট ব্যবসায়ীদের ডাকা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
গতকাল দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেন, ‘যাঁরা সৎভাবে ব্যবসা করবেন, তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
কেউ অবৈধভাবে পণ্য মজুদ করে বা ষড়যন্ত্র করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে, তাঁদের ব্যাপারে কঠোর হতে আমরা পিছপা হব না।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে চালের বাজারে অস্থিরতা লক্ষ করছি। আমরা চালের বাজারে গিয়ে তাদের ব্যবস্থাপনা দেখব। মিল থেকে দোকান পর্যন্ত সাপ্লাই চেইনে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে, সেটি দূর করার উদ্যোগ নেব।’
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পছন্দের মোটা চাল কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চিকন চালের মধ্যে মিনিকেট মানভেদে প্রতি কেজি ৭২ থেকে ৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল মানভেদে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।