বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী পর এবার দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা: সৈয়দ আবু দাউদ মছনবী হায়দারও নির্বাচন থেকে সরে দঁড়ালেন। তিনি গাজীপুর-২ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীক ‘ফুলের মালা’ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
শুক্রবার টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী ‘পাগাড় শাহসাব বাড়ি’র নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী চট্রগ্রাম-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
গাজীপুর-২ আসনে তরিকত নেতা সৈয়দ আবু দাউদ মছনবী হায়দারসহ এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী নৌকার যাত্রী হিসেবে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন। এ আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এলাকায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণাসহ নির্বাচনী মূল আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের তিনজন প্রার্থী। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুত্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন এবং ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম।
মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানা, টঙ্গী পশ্চিম থানা, গাছা থানা, সদর থানা ও পূবাইল থানার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর-২ আসনে এবার নৌকা এবং ট্রাক প্রতীকে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে তরিকত নেতা মছনবী হায়দার বলেন, সংবিধান রক্ষার এই নির্বাচনে আমিসহ বিভিন্ন আসনে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন অন্যান্য প্রার্থীর মতোই দলীয় প্রতীক ‘ফুলের মালা’ নিয়ে প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে এসেছি। নির্বাচনের এ পর্যায়ে যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, তাই আমি দলের চেয়ারম্যানের সাথে একাত্মতা রেখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। সংবাদ সম্মেলনে তরিকত ফেডারেশনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচনী বিধিমালায় তিনি প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন।